আমি লিখতে বসে ভেবে পাই না- কি লিখব এ নিয়ে.. বাবা বলেছিলো, যখন ক্লাস এইটে পরি- হানাদার বাহিনীরা ধরেছিলো আমায়, বন্য শুয়োরের মত দাঁত খিঁচিয়ে বলেছিল তুই- মুক্তির স্পাই! নাহ, প্রতিবাদে কাজ হয়নি! হয়তো মারা পরতাম.. বাবা বলেছিলো, আমাকে ভোরে ছেড়ে দেয়. আমার হাতে-পায়ের বাধন খুলে দেয় এক পাকি সেনা! লম্বা দাড়ি, ঋজু শরীর তার. জানিনা বার্ধক্য ধরেছিল কিনা তাকে? কি দেখে সে ছেড়ে দেয় আমায় সেই ভয়াল রাতে! বাবা বলেছিলো, আমি দেখেছি লাঞ্ছিত, নির্যাতিত- বাঙ্গালি নারীদের সে ক্যাম্পে.. পিচাশের থাবায় নিঃস্ব হয়েও যারা এক মাহুতেও ভুলেনই দেখতে - এক স্বাধীন বাংলার স্বপ্ন. আমি দেখেছি রাজাকারের নিষ্ঠুর গর্বিত হাসি যখন এক মুক্তি সেনাকে ধরে এনেছিল একদল সাহায্যকারী. আমি বলবো না কি অমানুষিক নির্যাতনের পর সে দিয়েছিলো প্রাণ, এই বঙ্গ দেশের জন্য. বাবা বলেছিলো সে কথা, সে প্রাণ যায়নি বৃথা. শহীদ হয়ে ও স্বাধীন করেছিলো এ দেশ. আজ আমি লিখতে বসে ভেবে পাই না, কি লিখব স্বাধীনতা নিয়ে! কলমের কালি যেনও সীসা হয়ে জমাট বেধে গেছে, ক্ষমতার লড়াইয়ে বন্ধী আজ দেশের লক্ষ কোটি মানুষ রাজনীতি আর ধর্মের নামে অধর্মই যাদের সুখ. বাবা আজ দেখতে পেলে চোখ বন্ধ করে দিতো লক্ষ মুক্তির এ স্বপ্নের দেশ নয় বলে, নিশ্চিত ঝগড়া হতো! শহীদরা যদি জীবিত হয়ে দেখতও এই বাংলাদেশ আরেকবার, নিশ্চয় তারা দ্বিতীয় জীবন পেয়েও শহীদ হতো আবার. অতঃপর বর্তমান
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
মোঃ শামছুল আরেফিন
বীর মুক্তিযোদ্ধারা যে বাংলাদেশের জন্য যুদ্ধকরেছিল সেই বাংলাদেশ আমরা আজো গড়তে পারিনি।শহীদরা যদি জীবিত হয়ে দেখতও এই বাংলাদেশ আরেকবার,
নিশ্চয় তারা দ্বিতীয় জীবন পেয়েও শহীদ হতো আবার.খুব ভাল লাগ্ল।
Rajib Ferdous
বাহ সুন্দর। কবিতায় এরকম সহজ ভাবে কোন কিছু তুলে ধরলে আমার ভাল লাগে। এখানে ভাবের গভীরতা যেমন আছে তেমনি আছে পাঠের সহজবোধ্যতা। তবে "পিচাশ" শব্দটা হবে "পিশাচ" এবং "বঙ্গ দেশের' কথাটি বাংলাদেশের লিখলে আরো ভাল হত। শুভ কামনা আপনার জন্য।
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।